"AN IDEA CAN CHANGE YOUR LIFE IF YOU CAN DO THE WAY IT SHOULD BE DONE "

Saturday, April 29, 2017

TheAdsTEAM কি?

#TheAdsTEAM কি?
- #TheAdsTEAM হচ্ছে এডভার্টাইজিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি আপনার কোনো ওয়েবসাইট, অনলাইন প্রোডাক্ট অথবা আপনার কোনো রেফার লিংকের ও বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
- এখানে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমার লাভ?
- এখানে বিজ্ঞাপন দিলে ২ ভাবে লাভ।
১) আপনার সাইটে আপনি ভিজিটর পাচ্ছেন/ আপনার কোনো প্রোডাক্ট হলে সেটা প্রমোট হচ্ছে/আপনার রেফার লিংকের মাধ্যমে রেফারাল ও পেতে পারেন।
২) এই সাইটের মুল আকর্ষন এইটাই এবং প্রায় সবাই ই এইটার জন্য এখানে এড কিনে। আপনি যদি প্রতিদিন সাইটে লগ ইন করেন, ১০ টা করে এড দেখেন। তাহলে আপনি যত মূল্যের এড প্যাক কিনবেন, কোম্পানি প্রতিদিন তার লাভ থেকে প্রায় ২% হারে সর্বোচ্চ ১২০% পর্যন্ত ব্যাক দিবে। মানে আপনার লাভ থাকতেছে ২০%।

- তো ভাই এই ১২০% আসতে কত দিন লাগবে?
- প্রতিদিন ২% করে সাধারণত ৬০ দিনে ১২০% পাওয়া যায়। তবে কোম্পানির বিক্রয় এবং লাভের উপর নির্ভর করে কম বেশী সময় লাগতে পারে। এটা নির্দিষ্ট না যে প্রতিদিন অবশ্যই ২% দিবে বা ৬০ দিনে ১২০% দিবে।

- আচ্ছা বুজলাম, তো ভাই কোম্পানির থেকে আমি এড কিনলাম, তো কোম্পানি কেনো আমাকে আবার কিছু লাভসহ রিটার্ন দিবে?
-আচ্ছা, কোম্পানি যদি এটা না দিত তাহলে আমরা এড কিনতাম? সাইট ভিজিট করতাম? এড দেখতাম?? কোম্পানি আমাদের কিছু লাভ দিবে বিধায় আমরা এসব করছি, এতে কোম্পানির লাভ হচ্ছে এবং সেই লাভ থেকে আপনাকে কিছু দিচ্ছে। আপনি যদি সাইটে না যান বা এড না দেখেন তাহলে কিন্তু আপনি এইটা থেকে বঞ্চিত হবেন।
-ok ভাই, সব বুঝলাম। এড কিনতে কত খরচ হবে??
- ১ টা সর্বনিম্ন ৫$। ৫$ থেকে শুরু। ১০, ২৫, ৫০$ এরও আছে আপনার যেটা কিনতে ইচ্ছে।
- আমি যদি ৫$ দিয়ে একটা এড কিনি তাহলে কত রিটার্ন পাবো?
- ১২০% মানে ৬$।
- ভাই এতক্ষন এত কাহিনী করে এখন এইটা কি শুনাইলেন! ২ মাস শেষে মাত্র ১$ লাভ!!
-১$ তো ৫$ এর একটা এড থেকে লাভ, আপনার এড যত বেশী হবে লাভ ও তত বেশী। যেমন: আপনার ১০ টা ৫$ এর এড হলে ২ মাসে লাভ হবে ১০$ বা ১ মাসে ৫$; ৫০ টা এড হলে ২ মাসে ৫০$ বা ১ মাসে ২৫$; যদি ১০০টা এড হয় তাহলে প্রতিমাসে শুধু লাভ ৫০$।
- ওহ, কিন্তু ভাই টাকাতো অনেক। ভালো লাভ পেতে হলে দেখছি অনেক টাকা লাগবে।
-hmm, এড লাগবে অনেক। কিন্তু আপনি চাইলে কম থেকেও শুরু করতে পারেন। ধরলাম আপনি ৫$ এর ১০ টা এড বা ৫০$ দিয়ে শুরু করলেন। তাহলে প্রতিদিন ২% মানে প্রায় ১$ রিটার্ন আসবে আপনার একাউন্টে, ৫ দিনে ৫$। তখন আপনি চাইলে এই ৫$ উইথড্র(মিনিমাম উইথড্র ৫$) দিয়ে দিতে পারবেন বা এই ৫$ দিয়ে আরো একটা এড কিনে ফেলতে পারবেন। যেহেতু এড বাড়াবেন তাই ধরলাম আপনি এড কিনবেন, এখন ১১ টা এড থেকে আপনার ডেইলি রিটার্ন আসবে ১.১০$, এবার ৫$ হতে আপনার আরো কম সময় লাগবে। আরেকটা এড নিলে হবে ১২ টা এড, ডেইলি রিটার্ন আসবে প্রায় ১.২০$। ধরলাম এভাবে কিছুদিন পর আপনার এড হল ২০ টা। এই ২০ টা এড থেকে আপনার ডেইলি রিটার্ন আসবে ২$ এবং আড়াই দিনেই আপনার ৫$ হয়ে যাবে। এখন আপনি যদি ২০ টা এড রানিং রাখেন তাহলে প্রতি মাসে লাভ থাকবে ১০$, এড যদি আরো বাড়ান বা ৫০, ১০০ বা আরো ঐ হিসেবে লাভ করতে পারবেন। ( উপরে এটা নিয়ে বলেছি।)

- ভাই, $ দিয়ে কাজকর্ম কেমন যেনো ঝামেলার। এগুলো আমি আবার খুব একটা বুঝি না।
-এটার সমাধান #TheAdsTEAM দিয়েছে। আপনি যার রেফারে জয়েন করবেন উনি আপনাকে এসব বুঝিয়ে দিতে বাধ্য। কেননা #TheAdsTEAM থেকে এর জন্য তিনি কমিশন পান। আর এখন এসব ব্যাপারগুলো এত ঝামেলার না। খুব সহজ। আপনাকে দেখিয়ে দেয়া হলেই আপনি পারবেন। আর আমার জানামতে যারা #TheAdsTEAM এ আছে সবাই ই রেফারদেরকে যতভাবে পারা সম্ভব বুঝিয়ে দেয়, দেখিয়ে দেয়। নেট সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণা না থাকলেও আপনি যদি #TheAdsTEAM এ কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন, তাহলে আপনার sponsor(আপনি যার রেফারে জয়েন করবেন উনি আপনার sponsor) আপনাকে এক্সপার্ট বানিয়েই ছাড়বে। এছাড়াও যেকোনো হেল্প এর জন্য #TheAdsTEAM বাংলাদেশ গ্রুপ, অফিসিয়াল গ্রুপ এসবতো আছেই। চাইলে আমাকেও নক দিতে পারেন।
-ঠিক আছে ভাই, কিন্তু এটা কতটুকু বিশ্বস্ত। টাকা নিয়ে ভেগে গেলে?
-ভাই এটা বিজনেস, একটা বিজনেস লাভে থাকলে কখনোই যায় না। আর #TheAdsTEAM চলে যাওয়ার মত কোনো বিজনেস করছে না। যতদিন এটা লাভে থাকবে, ততদিন আমরা এখান থেকে আর্ন করতে পারবো। ২ বছর+ ধরে এটা চলতেছে, মাঝখানে অনেক বাধাবিপত্তিও আসছিলো, এসব টপকে #TheAdsTEAM এখন বর্তমান অবস্থানে এসেছে। এটা এখন রেভিনিউ শেয়ার বিজনেসের মডেল। সবার উপরে #TheAdsTEAM। এটাকে ফলো করে নতুন অনেক কোম্পানি শুরু করেছে এবং করতেছে। এই সাইটের এডমিন প্যানেল এখন পরিচিত মুখ। একটা সাইট চলে যাওয়ার মত হলে সাইটের এডমিনদের দেখা যায় না। এরা হিডেন থাকে, কিন্তু #TheAdsTEAM এর এডমিন ট্রান্সপারেন্ট।
-ভাই এসব লেকচার অনেক শুনছি।(কয়েকটা কোম্পানি নাম বলছি না) এসব কথা না শুধু আরো অনেক লোভনীয়, বিশ্বাযোগ্য কথা বলে কিছুদিন পর টাকা হাতিয়ে চলে গেছে।
-ঠিক বলছেন ভাই, আমরা বাংগালি। কেমনে অন্যজনরে মেরে খাওয়া যায় সেই চিন্তা। ঐ সব কোম্পানিগুলোর কারনে এখন প্রমোশন টাই আমাদের জন্য হুমকির মুখে। ভালো কোনো কোম্পানিকেও প্রমোট করলে আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। কিন্তু যেই কোম্পানিগুলো আমাদের থেকে টাকা মেরে গেছে ওরা শুধু আমাদের এখানেই ছিলো। কিছুদিন আগেও একটা মোবাইল সফটওয়্যার এপ্স ইনস্টল করার বদলে $ দেয়ার নাম করে অনেক টাকা হাতাইছে। এটাও আমাদের বাংলাদেশিই। আর আমাদের টাকাই ওরা খাইছে। ঐ কোম্পানি গুলোর কারণে আমরা বাংলাদেশীরা এখন কিছু প্রমোট করতে পারি না। বিশ্বাস করতে চায় না কেউ।
#TheAdsTEAM এ বাংলাদেশীরা না থাকলেও ওদের কিচ্ছু হবে না। #TheAdsTEAM এর হোমপেইজে গেলেই দেখতে পাবেন প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের কত মানুষ জয়েন করতেছে। এটা শুধু বাংলাদেশে না। পৃথিবীব্যাপি ছড়িয়ে আছে। তাই বাংলাদেশের টাকা হাতিয়ে নেয়া কোম্পানির সাথে এটার তুলনা করে কোনো লাভ নাই।
সব শেষে আমি যেটা বলতে পারি online এ রেভিনিউ শেয়ারে #TheAdsTEAM এক নাম্বার, সব থেকে বিশ্বস্ত। কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করলে দেরী না করে শুরু করেন। আপনাকে হেল্প করার জন্য আপনার স্পন্সর, আমাদের #TheAdsTEAM বাংলাদেশ গ্রুপ, #TheAdsTEAM অফিসিয়াল গ্রুপ আছে।


Saturday, April 15, 2017

AnyDesk

Working together? Accessing your apps from the road? Showing family videos to your friends?
No problem with AnyDesk. And your data stays at home. For Download this software Click Here

শিখিয়া করিও কাজ

ফ্রিল্যান্সার :


ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবী এমন একজন যিনি নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যুক্ত না থেকেই কাজ করেন। একজন ফ্রিল্যান্সার এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। আবার নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা পড়ালেখার পাশাপাশিও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অন্যান্য কাজ করতে পারেন।
অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ে এখন অনেকেরই আগ্রহ। এ কাজ শুরুর আগে দক্ষ হতে হবে। মডেল: স্বর্ণ, ছবি: সুমন ইউসুফ
অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ে এখন অনেকেরই আগ্রহ। এ কাজ শুরুর আগে দক্ষ হতে হবে। মডেল: স্বর্ণ, ছবি: সুমন ইউসুফ
আউটসোর্সিং
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন তার নিজের বা প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয় তখন সেটি আউটসোর্সিং। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ আউটসোর্স করা হয়ে থাকে। এই কাজগুলো অপর কোনো প্রতিষ্ঠান করতে পারে অথবা একজন ফ্রিল্যান্সারও কাজটা করে দিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো আউটসোর্স করার অনেক ধরনের কারণ রয়েছে, দক্ষ লোককে দিয়ে কাজ করানো, কম মজুরির হার, কম সময়ে কাজ সম্পন্ন করা, সামগ্রিক ব্যয় কমানো, প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অন্যান্য কাজে নিয়োগ করাসহ আরও কারণ রয়েছে।
অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট (মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত) যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। আবার আউটসোর্সিং মানেই সব সময় যে অনলাইনে কাজ করা এমন নয়। ধরা যাক একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শার্ট তৈরি করা হয় এবং শার্টের বোতামগুলো এই কারখানায় তৈরি করা হয় না। এগুলো সরবরাহ করা হয় অপর একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। অর্থাৎ তৈরি পোশাক কারখানাটি বোতাম তৈরির আলাদা ব্যবস্থা না রেখে অন্য কারখানা থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাওয়ার পদ্ধতি
ইন্টারনেটে বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দক্ষ পেশাজীবীরা এখানে নিয়মিত কাজ করছেন। আবার বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা মার্কেটপ্লেসও রয়েছে। এই বাজারে কাজগুলোর বর্ণনা থাকে এবং যাঁরা কাজ করতে আগ্রহী তাঁরা কাজটি কত সময়ের মধ্যে এবং কত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করতে পারবেন তা উল্লেখ করে আবেদন করবেন। এরপর আলোচনার মাধ্যমে যিনি কাজটি করাবেন তিনি কোনো একজনকে নির্বাচন করবেন।
অনলাইন মার্কেটগুলোতে কাজের বর্ণনা সাধারণত ইংরেজিতে দেওয়া থাকে। অর্থাৎ ইংরেজি ভাষা জানেন এবং ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে, পৃথিবীর এমন যে কেউই এই কাজগুলো করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আবেদন করলেই কাজ পাওয়া যাবে এমন না, এটি প্রায় সম্পূর্ণভাব নির্ভর করে দক্ষতার ওপর। দক্ষতা ছাড়া কাজের জন্য আবেদন করা হলে হয়তো কখনো যোগাযোগই করা হবে না।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ৫০০-এরও বেশি বিষয়ের কাজ পাওয়া যায়। যে বিষয় নিয়েই কাজ করা হোক না কেন, ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। কাজের জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া, কাজের বিভিন্ন ধাপে এবং সম্পন্ন করার পর পর্যন্ত কাজদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। যোগাযোগের দুর্বলতা থাকলে কোনো কারণে কাজ পাওয়া গেলেও নিয়মিতভাবে অনলাইনে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
কাজ শেখা ও দক্ষতা অর্জন
‘আলাদাভাবে শেখার প্রয়োজন নেই, কাজ করতে করতে শেখা হবে’—ধারণাটি এ ক্ষেত্রে ভুল। কাজ শুরু করার আগে বিষয়টি সম্পর্কে সর্বোচ্চ দক্ষতা না থাকলেও অবশ্যই কাজটি সম্পন্ন করার মতো জ্ঞান থাকতে হবে। কাজের মাধ্যমে শেখা শুরু করলে প্রায় কখনোই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প শেষ করা যায় না। নিজের আগ্রহ কোন দিকে রয়েছে, সেটা বুঝতে হবে প্রথমে এবং এরপর সেই বিষয়সংশ্লিষ্ট কাজগুলো খুঁজে বের করতে হবে মার্কেট থেকে। কাজের বর্ণনায় লেখা থেকেও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কী কী বিষয় শেখা প্রয়োজন সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
কাজ শেখার সব থেকে বড় উৎস হলো ইন্টারনেট। সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে খুঁজে নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব এবং এখান থেকেই শেখা শুরু করা যেতে পারে। অনলাইনে বিনা মূল্যে প্রায় সব বিষয় সম্পর্কেই জানা সম্ভব। নিয়মিত চর্চা করা হলে ধীরে ধীরে বিষয়টি সম্পর্কে দক্ষ হয়ে ওঠা সম্ভব। পাশাপাশি শেখার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে বা কোনো কোর্স করার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ পাওয়া শুরু হয়ে যাবে এমন নয়। নিয়মিত চর্চা চালিয়ে যাওয়া জরুরি। আবার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেও, পাশাপাশি নিজের আলাদাভাবে শেখার কাজটি চালিয়ে যেতে হয়।
আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার ফলেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কোনো বিষয়ে পারদর্শিতা না থাকলে কাজ পাওয়া বা উপার্জনের আশা করাটা ভুল। কত কম সময়ের মধ্যে কত বেশি পরিমাণ উপার্জন সম্ভব, এমন লক্ষ্যের পেছনে দৌড়ালে জয়লাভ করা যাবে না। দক্ষতা বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে কাজ পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান করতে হবে।

Thursday, April 13, 2017

অনলাইনে যে কাজগুলো করবেন না কখনই


ইন্টারনেট সম্পর্কিত আইনগুলো প্রতিনয়ত বদলে যাচ্ছে।তাই এ বিষয়ে যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলো জানা কঠিনই বটে।গান ডাউনলোড করা থেকে শুরু করে টরেন্ট বা এই জাতীয় কোনো সাইট থেকে লেটেস্ট হিন্দি বা বাংলা সিনেমা ডাউনলোড, সবই কিন্তু বেআইনি। তবু আমরা করে চলেছি এইসব, আইনের চোখে ধুলো দিয়ে।
যেসব কাজ ইন্টারনেটে করা একেবারেই আইন বিরুদ্ধ তা পাঠকদের সামনে তুলে ধারা হবে এবার।তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় বলে রাখা দরকার যে সবসময়ই যে আমরা জেনে বুঝেই এই ভুলগুলো করে থাকি এমন নয়। তাই তো সকলের এই প্রবন্ধটা পড়া জরুরি। কারণ এতে সেই সব কাজগুলোর প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল যেগুলো ইন্টারনেটে বিচরণ করার সময় এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
সিনেমা এবং গান ডাউনলোড : আগেও বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন সাইট থেকে গান বা সিনেমা ডাউনলোড করা কিন্তু সম্পূর্ণ বেআইনি। সেই কারণেই তো অনেক দেশ ইতিমধ্যেই টরেন্ট সাইটটি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তবু যেন থামতে চাইছে না এই নিষিদ্ধ কাজ। এ বিষয়ে তাই আমাদের সকলেরই অতিরিক্ত সচেতন হওয়াটা জরুরি।
গাড়ি চালানোর সময় মেসেজ করবেন না:এটা যে খারাপ অভ্যাস, সেটা আমাদের সকলেরই জানা। তবু যেন ছাড়তে ইচ্ছা করে না। একথা আমরা ভুলে যাই যে কোনো পরিবহন, তা গাড়ি হোক কী বাইক বা সাইকেল, চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে বা টেক্সট করলে মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা থাকে।
বিজ্ঞাপনকে আটকে দেওয়া:ইন্টারনেটে ঝড় তোলা বেশিরভাগ সাইটই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পয়সা উপার্জন করে থাকে।তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়।এটা কিন্তু বেআইনি কাজ।
সাইটে কিছু বিক্রি করে তা আয়ের অংশ হিসাবে না দেখানো : আজকাল অনেক সাইটেই পুরানো জিনিস পত্র বিক্রি করা যায়। আর এ কাজ আমরা অনেকেই করে থাকি। কিন্তু কজন এই সব বিক্রি থেকে উপার্জিত অর্থ নিজের আয়ের অংশ হিসাবে দেখান?হিসাব করলে সংখ্যাটা যে খুব বেশি হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।তবে অনেকেরই এই বিষয়টা মাথায় থাকে না যে এই অল্প পরিমাণ আয়ও দেখানো জরুরি।তাই এইভাবে নিজের আয়ের অংশ হিসাবে এমন উপার্জনকে না দেখানো বাস্তবিক বেআইনি কাজ।

নকল আই পি অ্যাড্রেস ব্যবহার:নিজেকে মুখোশের আড়ালে রেখে দিতে অনেকেই নকল পরিচয়, এমনকী নকল আই পি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে থাকেন।অনেকে আবার বেআইনি কাজ করার জন্যও এমনটা করে থাকেন।যারা এমন করে তাদের জানিয়ে রাখি, এই ধরনের কাজ কিন্তু বেআইনি।

কম্পিউটারের প্রসেসর কেনার আগে কি কি বিষয় খেয়াল করবেন


প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার। প্রসেসর কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে। মূলত একেই CPU (Central Processing Unit) বলে। প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Intel এবং AMD (Advanced Micro Device)। এই দুটি কোম্পানিই ভালো। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কিছু প্রযুক্তিগত দিক থেকে Intel এগিয়ে রয়েছে। তবে বর্তমানে AMD ও তাদের APU (acceleration processing Unit) প্রসেসরের ম্যাধ্যমে বাজারে সুলভ মূল্যে বেশ কিছু ভাল প্রসেসর এনেছে। বর্তমানে বাজারে computer and accessories বাজার দর দেখুন।
যেহেতু প্রসেসর কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে এবং যার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটি কেনার সময় বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে।
১. প্রসেসরের Clock Speed কত, সেটা লক্ষ্য করতে হবে। ক্লক স্পিড যত বেশি হবে, প্রসেসরের প্রসেসিং ক্ষমতাও তত বেশি হবে। শুধু clock speed নয়, প্রসেসরের Cache Memory (ক্যাশ মেমরি) কত তাও লক্ষ্য করতে হবে। ক্যাশ মেমরির মধ্যে প্রকারভেদ রয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্যাশ মেমরি হল L3 Cache। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রসেসরে কয়টি কোর(core) এবং কয়টি থ্রেড(thread) আছে তা খেয়াল করতে হবে। কোর এবং থ্রেড এর সংখ্যা বেশি হলে স্পিড বাড়বে। এছাড়া FSB (Front Serial Bus) এর পরিমাণ লক্ষ্য করতে হবে। FSB বেশি হলে স্পিড বেশি হবে। তাই মাদারবোর্ডের বাস স্পিডের সাথে মিল রেখে প্রসেসর কেনা উচিৎ। যদিও নতুন প্রসেসর গুলোতে FSB ব্যবহার করা হয় না। এর পরিবর্তে QPI ব্যবহৃত হয়।
২. প্রসেসরের সিরিজ কী, সেটাও খেয়াল রাখার একটি বিষয়। কারণ সিরিজ যত উন্নত হবে, প্রসেসর মান বাড়বে। Intel এর প্রথম দিককার প্রসেসর এর মধ্যে রয়েছে, Pentium Series। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে এসেছে, Celeron series, Core Series, i Series। তেমনি AMD এর প্রসেসর গুলো হল Sempron, Athlon, AMD Athlon X2, AMD Athlon II X2, AMD Phenom, AMD FX, AMD APU ইত্যাদি। তাই সবসময় নতুন সিরিজের প্রসেসর কেনা ভাল। কিন্তু প্রসেসরটি যেন আপনার মাদারবোর্ডে সমর্থন করে সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩. প্রসেসরের একটি বিশেষ ফিচার হল Hyper Threading Technology। কারণ এ প্রযুক্তি Multitasking কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী ভুমিকা রাখে। এছাড়া Intel প্রসেসরের ক্ষেত্রে Turbo Boost Technology রয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এই প্রযুক্তি বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনের সময় প্রসেসরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. প্রসেসরে GPU (Graphics Processing Unit) রয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে অনলাইল থেকে নির্বাচিত মডেলের প্রসেসরের স্পেসিফিকেশন দেখে নিন। প্রসেসরে GPU থাকলে এবং ভালো মাদারবোর্ড ব্যবহার করলে External Graphics Card প্রয়োজন হয় না। AMD এর APU (acceleration processing Unit) প্রসেসরে আলদা Graphics Processing Unit রয়েছে। যা দিয়ে হাই ডেফিনেশন ভিডিও,গেমস ও অন্যান্য গ্রাফিকাল কাজ করা যায়।
৫. প্রসেসরেটি যে দোকান থেকে কিনছেন সেই দোকানের ক্রেতাদের কীরূপ গ্রাহক সেবা দেয় তা জেনে নেওয়া ভাল। সেক্ষেএে পরিচিত লোকদের সাহায্য নিতে পারেন। বাজারে অনেক সময় খোলা হার্ডওয়্যার পাওয়া যায়। কখনোই এগুলো কেনা উচিৎ নয়।প্রসেসর ক্রয় করার পূর্বে পূর্বোল্লিখিত লক্ষণীয় বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখা উচিৎ।
আশা করি এই আর্টিকেলের ম্যাধ্যমে প্রসেসর ক্রয় করতে সুবিধা পাবেন। ধন্যবাদ।

Monday, April 10, 2017

কম্পিউটার কেন এবং কিভাবে হ্যাং হয়?





আমরা কম্পিউটার-এ কাজ করার সময় তার কাজের ফলাফল ঠিকমত প্রকাশ করে না বা তার কাজের ফলাফল অনেক সময় নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে তখন কম্পিউটারের এই অবস্থা কে Hang বলে থাকি। সকল Hang হওয়ার পিছনে একটা না একটা কারণ রয়েছে। নিচে Hang হওয়ার কিছু কারন দেওয়া হলঃ-

→ কম্পিউটারের প্রসেসরের মান বা কাজের তুলনায় স্পীড কম হলে।
→ কম্পিউটার র‌্যামের তুলনায় বেশী পরিমাণ কাজ করলে।আপনার কম্পিউটার র‌্যাম এর পরিমাণ কম কিন্তু আপনি অনেক বড় বড় কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু করলেন। তাহলে তো হবেই।
→ কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন এবং প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে, বার বার একই সমস্যা হতে পারে
→ যদি বার বার হ্যাং হয় তাহলে Cooling Fan টা check করেন এটা স্পীডে গুরছে কিনা।
→ hard diskএ Bad sector থাকলে বা অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলে।
→ অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি থাকলে মানে…কোনো সিস্টেম ফাইল file delete হয়ে যাওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে।
→ কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে সাধারণত Hang হতে পারে।
এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী Hangহয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রয়ই হ্যাং হয়। কম্পিউটারে অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করুন।
→ হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালে তখন র‌্যাম সম্পূর্ণ লোড হয়ে যায় এবং hang হওয়ার সম্ভনা থকে।
→ কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলে তার জন্য hang হওয়ার সম্ভনা থকে। refresh চাপেন এবং RUN এ গিয়ে tree চাপেন।

উইন্ডোজ ১০ স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদ বন্ধ করতে…




মাইক্রোসফটের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০-এ স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদ বন্ধ করার সহজ কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এ নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা তৈরি হয়েছে, অভিযোগেরও কমতি নেই। বিশেষ করে যাঁরা সীমিতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাঁদের অভিযোগ, অপারেটিং সিস্টেমটি শুরু থেকেই প্রচুর ইন্টারনেট ডেটা খরচ করে।

সিস্টেমের নিরাপত্তা, চালক সফটওয়্যার (ড্রাইভার) এবং উন্নত ব্যবহার নিশ্চিত করতে অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যাঁদের ইন্টারনেট সংযোগ সীমাবদ্ধ, এমন অনেক ব্যবহারকারী চান না এভাবে নিজের অজান্তে ইন্টারনেট ডেটা খরচ হোক।
উইন্ডোজ দশের কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদের মাধ্যমে অতিরিক্ত ইন্টারনেট ডেটা খরচ কমানো যেতে পারে। এ জন্য স্টার্ট বোতামে ক্লিক করে SettingsUpdate & securityAdvanced options-এ যান। এখানে অটোমেটিক আপডেট মেনুর নিচে থাকা Give me updates for… অপশন থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন। এরপর নিচে থাকা Chose how updates are delivered অপশনে ক্লিক করে When this is turned on… স্লাইডারটি টেনে বন্ধ করে দিন। এখন একদম ওপরে বাঁয়ে থাকা ব্যাক বোতামটি চেপে আবার আগের অ্যাডভান্সড অপশন উইন্ডোতে ফিরে যান। সবার নিচে থাকা Privacy options লিংকে ক্লিক করে Background apps অপশনে ক্লিক করুন। ডানে থাকা বিভিন্ন অ্যাপসের পাশে স্লাইডারটি টেনে বা ক্লিক করে কাজে লাগে না এমন অ্যাপগুলো বন্ধ করে দিন।
সবশেষে আবার ব্যাক বোতামে ক্লিক করে মূল সেটিংস উইন্ডোতে ফিরে আসুন। সেখান থেকে Network & InternetWi-Fidvanced options ক্লিক করে Set as metered connection অপশনের স্লাইডারটি টেনে চালু করে দিন। এ অবস্থায় ব্যবহারকারীর অজান্তে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার অনেকটাই কমে আসবে।

পিসি থেকে ম্যালওয়্যার পরিষ্কার করার উপায়


আপনার পিসিটি কি আজকাল খুব ধীরে চলছে? কোন কিছু ওপেন করতে গেলে নানা রকম পপ-আপ চলে আসছে? কিম্বা ব্রাউজারটি অল্পতেই হ্যাং করছে? এ গুলো সবই ভাইরাস, স্পাইওয়্যার অথবা অন্যকোন অনিষ্টকারী সফটওয়্যার দ্বারা আপনার পিসিটি আক্রান্ত হবার লক্ষণ। অনেক সময় হার্ডওয়্যার জনিত কারণেও এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে; কিন্তু আপনার পিসিতে কোন অনিষ্টকারী সফটওয়্যার রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। এখানে দেয়া হল কিভাবে আপনি তা করবেন।


প্রথম ধাপ: সেফ মোডে প্রবেশ করুন
প্রথমে আপনার পিসিটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সিস্টেম পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত না হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন। এর ফলে অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলো আর বিস্তার লাভ করতে পারবে না অথবা আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা চুরিও করতে পারবে না।

আপনার কাছে যদি মনে হয় আপনার পিসিটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাহলে উইন্ডোজ সেভ মোডে রিস্টার্ট করুন। যেহেতু এই মোডে জরুরী সার্ভিস সমূহ ছাড়া আর কিছুই চালু হয় না তাই কোন ভাইরাস যদি উইন্ডোজ লোড হবার সাথে সাথে চালু হত সেগুলো সেফমোডে থাকার কারণে আর লোড হতে পারবে না।

সেভ মোডে লোড হবার জন্য প্রথমে পিসি সাট-ডাউন করুন। এরপর পিসি স্টার্ট দিয়ে F8 কী-টিকে বার বার চাপ দিন। আপনার সামনে আসবে অ্যাডভান্সড বুট অপশন মেন্যু সেখান থেকে “সেফ মোডে উইথ নেটওয়ার্কিং” নির্বাচন করুন এবং এন্টার চাপ দিন।

এই সেফ মোডে আপনার পিসিটি যদি দ্রুত চলে তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার পিসিতে ভাইরাস রয়েছে। তবে এমনও হতে পারে আপনার পিসিতে অনেক বেশী প্রোগ্রাম রয়েছে যেগুলো উইন্ডোজের সাথে সাথে লোড হয়ে থাকে।

দ্বিতীয় ধাপ: টেম্পোরারি ফাইলগুলো ডিলিট করুন
ভাইরাস স্ক্যান করবার আগে আপনার টেম্পোরারি ফাইলগুলো মুছে ফেলুন। মুছে ফেলবার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ডিস্ক ক্লিনআপ টুলটি যা উইন্ডোজের সাথেই থাকে। একে পেতে পারেন তিন ভাবে-

১. start->search [disk cleanup]->enter।
২. start->All Programs->Accessories->System Tools->Disk Cleanup
অথবা
৩. উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার থেকে হার্ড-ড্রাইভের উপর রাইট ক্লিক করে প্রোপারটিজ নির্বাচন করে ডিস্ক ক্লিনআপের অপশন পেয়ে যাবেন।


তৃতীয় ধাপ: ম্যালওয়্যার স্ক্যানার ডাউনলোড করুন
আপনার মেশিনে যে অ্যান্টিভাইরাস রয়েছে সেই স্ক্যানার ব্যবহার করে স্ক্যান করলে কিন্তু আপনি ম্যালওয়্যারগুলোকে পাবেন না। কারণ সে এই ভাইরাসগুলো ধরতে পূর্বেই ব্যর্থ হয়েছে বলেই আজ আপনাকে বিশেষভাবে স্ক্যান করতে হচ্ছে, তাই না?

ডাউনলোড করুন BitDefender Free Edition, Kaspersky Virus Removal Tool, Malwarebytes, Norman Malware Cleaner, অথবা SuperAntiSpyware এগুলোকে বলে অনডিমান্ড স্ক্যানার। আর সাধারণভাবে আমরা যে সকল অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকি তাদেরকে বলে রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম। অনডিমান্ড স্ক্যানার আপনি একের অধিক ইনস্টল করতে পারেন কিন্তু একের অধিক রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করলে কিন্তু কাজ করবে না।

মনে রাখবেন কোন অ্যান্টিভাইরাসের সাহায্যে আপনি ১০০% নিরাপত্তা পাবেন না, আর তাই দুই-তিনটি স্ক্যানার ব্যবহার করে চেক করুন, যেন আপনার মেশিন সম্পূর্ণরূপে অনিষ্টকারী সফটওয়্যার মুক্ত হয়।

চতুর্থ ধাপ: ওয়েব ব্রাউজারটিকে ঠিক করুন
অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলো আপনার উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইল এবং অন্যান্য সেটিংগুলোর ক্ষতি সাধন করে থাকতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী যেটি ঘটে তা হচ্ছে ব্রাউজারের হোম পেজ পরিবর্তন অথবা ইন্টারনেটের সংযোগ সেটিং পরিবর্তন করে ফেলা যাতে ইন্টারনেট সংযোগের সাথে সাথে আবার আপনি এই ভাইরাস দ্বারা আবার আক্রান্ত হন।

আর তাই ব্রাউজার লঞ্চ করবার পূর্বে আপনার হোমপেজ এবং সংযোগ সেটিংগুলো পরীক্ষা করে দেখুন। ব্রাউজারে হোমপেজ পরীক্ষা করবেন এভাবে, start-> control panel-> internet options। যদি এখানে অপরিচিত কোন ওয়েবসাইটের নাম দেখেন যা আপনি এর আগে কখনো শোনেননি তাহলে use blank বাটনটিতে ক্লিক করুন।

এরপর, সিলেক্ট করুন Connections ট্যাবটি এবং ক্লিক করুন LAN settings বাটনে। আপনার আইএসপি যদি প্রক্সি ব্যবহার করতে না বলে আপনাকে তাহলে এখানে Automatically detect settings সিলেক্ট করা অবস্থায় থাকবে।

পঞ্চম ধাপ: উইন্ডোজ নষ্ট হলে আপনার ফাইল সমূহকে রিকভার করুন
কোন মতেই যদি অনিষ্টকারী সফটওয়্যারগুলোর হাত থেকে রক্ষা না পান অথবা উইন্ডোজ যদি ঠিক মত কাজ না করে তাহলে আপনার হাতে থাকছে শেষ অস্ত্র উইন্ডোজ রি-ইনস্টল করা। তবে তার আগে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংরক্ষণ করুন ইউএসবি বা এক্সটারনাল ড্রাইভে। আপনার ই-মেইল ক্লায়েন্টের (আউটলুক বা উইন্ডোজ মেইল) সেটিং এবং মেসেজগুলো সেভ করতে ভুলবেন না। আপনার মেশিনের প্রয়োজনীয় ড্রাইভার, বিশেষ করে নেটওয়ার্ক ড্রাইভারটিকে সেভ করবার জন্য ব্যবহার করুন ডাবল ড্রাইভারের মত সফটওয়্যার।

আপনি ব্যাকআপ প্রক্রিয়া শুরু করবার আগেই যদি উইন্ডোজ কাজ করা বন্ধ করে দেয় অথবা স্টার্ট না হয় তাহলে আপনার ফাইলগুলোতে প্রবেশ করবার জন্য ব্যাবহার করুন হিরেন্স বুটসিডির মত কোন লাইভ সিডি।

সবকিছু ঠিকঠাক মত ব্যাকআপ হবার পর আপনার পিসিটিতে আবার নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল করুন। ভাইরাস আক্রান্ত মেশিনে উইন্ডোজ রিইনস্টলের সময় ফরম্যাট করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

পিসিকে কিভাবে ভাইরাস মুক্ত রাখবেন
সবসময় রিয়েল টাইম অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন। বাংলাদেশে অনেকেই অত্যধিক দামের কারণে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো কিনতে চাননা। তাদের জন্য একটা টিপস, অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো তাদের ট্রায়াল সংস্করণগুলো একমাস থেকে তিনমাস পর্যন্ত ট্রায়াল হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়। ডাউনলোড করুন ট্রায়াল সংস্করণ, ব্যবহার করুন একমাস, তারপর আরেকটি ডাউনলোড করুন, সেটা শেষ হয়ে গেলে আরেকটি, তারপর আরেকটি…! ভালো কিছু অ্যান্টিভাইরাসের মাঝে রয়েছে, নরটন, অ্যাভাস্ট, এভিজি, কমোডো আর আপনার পিসিতে যদি অরিজিনাল উইন্ডোজ থাকে তাহলে ব্যবহার করতে পারেন মাইক্রোসফটের Microsoft Security Essentials। এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণরূপে ফ্রি।

আপনার ব্যাকআপ করা ডাটাগুলো রিস্টোর করবার আগে ভাইরাস স্ক্যান করে নিতে ভুলবেন না। উইন্ডোজ এবং অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো সবসময় আপটুডেট রাখাটাও ভাইরাসমুক্ত থাকবার মূল চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।